প্রকাশিত: Fri, Dec 1, 2023 11:42 AM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 2:53 AM

[১]হেনরি কিসিঞ্জারের মৃত্যুক্ষণে বাংলাদেশ অনেক ঐশ্বর্যমণ্ডিত : ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন

ভূঁইয়া আশিক রহমান: [২] এই ইতিহাসবিদ বলেন, বাংলাদেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। নজরকাড়া প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। যে বাংলাদেশকে হেনরি কিসিঞ্জার ঠেকিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এদেশের জন্মলগ্নে হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি হবে। সেই ঝুড়ি এখন উপচে পড়ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি বিশে^র নজর কেড়েছে। আগামীতে আরও ভালো হবেÑ বিজয়ের মাসে এমন একটি আশা পোষণ করছি আমরা। কিন্তু বিপরীতে রাজনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু উন্নয়ন বলতে যা বোঝায় তা এখনো হয়নি। কারণ প্রবৃদ্ধি হতে হবে সমতাভিত্তিক। তবেই উন্নয়ন পূর্ণতা পায়। 

[৩] তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধলগ্ন মানুষের কাছে হেনরি কিসিঞ্জার একটি অপ্রিয় নাম। কারণ তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও তিনি শত রকম চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে রুখে দেওয়ার জন্য। তবে তিনি এবং তার প্রেসিডেন্ট নিক্সন ব্যর্থ হয়েছিলেন। অর্থাৎ একটা ব্যর্থ কূটনীতির দায়ভার কিসিঞ্জারকে নিতে হয়েছে। 

[৪] ১৯৭৬ সালে কংগ্রেস থেকে ্একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো যে, কেন মার্কিন কূটনীতি ব্যর্থ হলো ১৯৭১ এ দক্ষিণ এশিয়ায়। তাতে মন্তব্য করা হয়েছিলো যে, মার্কিন কূটনীতি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক সংকটকে বিবেচনা করতে চেয়েছিলো। কিন্তু আঞ্চলিক সংকট আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করা উচিত ছিলো। সেজন্য মার্কিন কূটনীতির ব্যর্থতা অনিবার্য ছিলো। 

[৫] ড. হেনরি কিসিঞ্জার মেবাধী ছাত্র ছিলেন। মেবাধী শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু কূটনীতিক হিসেবে তার অবদান যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। এই হেনরি কিসিঞ্জারই ১৯৯৬ সালে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে শান্তি পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনেও তার অবদান স্বীকৃত সত্য হিসেবে ইতিহাসে প্রভাবিত। মন্দ কাজের দায়ভার তাকে সারাজীবনই বহন করতে হয়েছে।